বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় চালের উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে হওয়া সভায় মন্ত্রী এ তাগিদ দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা দুটোই বেড়েছে। এতসব সাফল্যের পরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদের জমি কমছে। এ অবস্থায় উৎপাদনের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, ধানের নতুন উদ্ভাবিত জাত, যেগুলোর উৎপাদনশীলতা বেশি তা দ্রুত কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন বেশি, এটিকেও আরও সম্প্রসারিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছর উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে পেঁয়াজের ভালো দাম পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখা হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ ভাগ। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২ ভাগ।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সঙ্গে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কী প্রভাব পড়েছে ও কী ফলাফল এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভালো না এলে প্রজেক্ট করে লাভ হবে না।

সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/এসএসএইচ