পাসপোর্ট সেবা প্রদানে ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের লক্ষ্মীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আরিফ আহমদের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করে দুদক টিম।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহককে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক টিম সরেজমিনে অফিসটি পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। 

তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে টিমকে জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ দালালদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে কিছুদিন পরপর পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছে দুদক টিম। এনফোর্সমেন্ট টিম পাসপোর্ট অফিসে আগত প্রায় বিশ-পঁচিশ জন গ্রাহকের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। এ সংক্রান্ত আরও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে একজন গ্রাহকের নামের বিদ্যুৎ মিটার অন্যজনের নামে প্রদানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক পাবনার উপসহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধরের নেতৃত্বে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম ওই দফতর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটিকে নেসকো নামে নতুন কোম্পানিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। বরাদ্দ ও বিতরণ রেজিস্টার পরীক্ষা করাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে দুদক টিম বেশকিছু ক্ষেত্রেই অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে। 

দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ আরও ৫ দফতরে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

আরএম/এইচকে