মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নই শেখ হাসিনার জীবনের দর্পণ : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের যে দর্পণ, সেটা হচ্ছে বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন। এটাই তার একমাত্র লক্ষ্য। তিনি তার বাবার মতো এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত ১২ বছরে তার অবদান ও অর্জন নিয়ে আয়োজিত বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
স্পিকার বলেন, দেশের মানুষের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে কাজটি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন, যে স্বপ্ন তিনি অপূর্ণ রেখে গেছেন, সেই স্বপ্ন পূরণের কাজটি অতি নিখুঁতভাবে করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিশ্বের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আমাদের পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মতো একজন নেতৃত্বে আছেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে আজ বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো একটি সেতু নির্মাণ করতে পেরেছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যে সুযোগ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
তিনি আরও বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) ৭৫তম জন্মদিন আসন্ন, আজ তিনি বিশ্বনন্দিত, সমাদৃত একজন নেতৃত্ব এবং আমরা গর্বিত। বাংলাদেশ তার মতো একজন নেতার নেতৃত্বে আজ এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে।
‘বাংলাদেশ : উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ১২ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বৈশ্বিক অঙ্গনে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের দুর্লভ ছবি দেখার সুযোগও পাবেন দর্শনার্থীরা।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেক কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রদর্শনীস্থল ঘুরে দেখেন।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন। সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীটি। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একে/এসএসএইচ