ই-কমার্স ব্যবসায় নতুন আইন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন না করে বিদ্যমান আইনগুলো বাস্তবায়নে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ও আইনজীবীরা।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় তারা এ মত দেন। বক্তারা বলেন, নতুন আইন অথবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন না করে বিদ্যমান যেসব আইন আছে সেগুলো বাস্তবায়নে নজর দেওয়া দরকার। পাশাপাশি সরকারের এক সংস্থার সঙ্গে আরেক সংস্থার সমন্বয় করাও দরকার।

সভার সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এতে বক্তব্য রাখেন- সিপিডি’র চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, শপ আপের চিফ অব স্টাফ জিয়াউল হক, অ্যাসিক্স বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসানা আসিফ, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহিদসহ অনেকে।

ই–কমার্স নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও আলাদা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই উল্লেখ করে চালডাল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম বলেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করলে ই–কমার্সকে আরও কঠিন করে ফেলবে। বরং সরকারের বিদ্যমান যেসব সংস্থা আছে, তাদের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ালে আরও বেশি কার্যকর হবে।

বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর বলেন, ই–কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে হলে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরকে আরও কার্যকর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহি করা এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনে তাদের শক্তিশালী করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অ্যামাজনের সঙ্গে আমাদের দেশের ই–কমার্সের বড় পার্থক্য হলো এখানে পণ্য ডেলিভারিতে অনেক সময় নেয়। তাছাড়া অ্যামাজনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা আছে, যেটা আমাদের দেশে নেই।

তারা বলেন, ই–কমার্স নতুন একটি শিল্প। ই–কমার্সে যা কিছু ঘটেছে, তাতে এককভাবে কাউকে দোষ না দিয়ে বলা যায়, এখানে সবারই দোষ ছিল। যে টাকা লোপাট হয়েছে, এখন জরুরি সে টাকা ফিরিয়ে আনা।

আইনজীবী তানজীব উল আলম বলেন, আমাদের এখানে কোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা বলি আইন নেই। তবে ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আইনের প্রয়োজন নেই। বিদ্যমান আইনে প্রায়োগিক দুর্বলতা আছে। সেসব দুর্বলতা বের করা দরকার বলেই নতুন আইনের কথা বলা হচ্ছে।

সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যমান আইনেই সব সমস্যার সমাধান আছে। যেহেতু এ খাতের কেউ নতুন করে আইন চায় না। তাই সরকারের আগ বাড়িয়ে উচিত হবে না নতুন করে কোনো আইন কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা। নতুন প্রতিষ্ঠান করলে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান আরও দুর্বল হবে।

একে/এসএসএইচ