কক্সবাজারের একটি হোটেলে তরুণী হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে আটক করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে র‍্যাব-১০ এর একটি দল তাকে আটক করে।

র‌্যাবের দাবি, আটক সাগর একজন সিরিয়াল রেপিস্ট (ধর্ষক)। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব জানান, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে কলাতলী এলাকার ‘আমারী রিসোর্ট’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেওয়া তরুণ পলাতক রয়েছে। উদ্ধারের পর  নামপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর হোটেলের ১০৮ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। দুই দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে তোলেন তিনি। এরপর সাগর ১০৮ নম্বর কক্ষ ছেড়ে একই হোটেলের ৪০৮ নম্বর কক্ষে যান। ওই কক্ষেই তারা দুজন অবস্থান করেন।

হোটেলের ব্যবস্থাপক মনজুর আলম বলেন, কক্ষের বাতি জ্বলতে না দেখে হোটেলের কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখন দরজা খুলে দেখা যায়, কক্ষের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ পড়ে আছে। ওই তরুণীর স্বামী পরিচয় দেওয়া সাগর পেছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, সাগরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।

জেইউ/এমএইচএস