চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এলাকা সিআরবি। যেখানে পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীসহ নানা ঐতিহ্যগত সাংস্কৃিতক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণেই নয়, ঐতিহাসিক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত এ সিআরবি।

ঐতিহ্যমণ্ডিত এই সিআরবিকে এখন ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের মধ্য দিয়ে পুরো রেলের জমি বেদখলের এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন বক্তারা। 

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজের প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। সমাবেশে গীতিনাট্য ‘ইতিহাস কথা কও’ পরিবেশন করে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষে কিন্তু সিআরবি ধ্বংস করে ওই স্থানে নয়। প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর চট্টগ্রামের ফুসফুস ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র, শ্রমিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা। 

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র এই সিআরবি। সিআরবি যদি দখল হয়ে যায়, তবে সংস্কৃতি চর্চার এ ঐতিহ্যবাহী স্থানটি হারিয়ে যাবে। যা কোনো ভাবেই চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ হতে দেবে না। সিআরবিতে হাসপাতালের নামে অত্যন্ত গোপনীয় কায়দায় ৬০০ শতক রেলভূমি গোপন ইজারার মাধ্যমে ধ্বংস করার আয়োজন চলছে। রেলওয়ে হাসপাতালটিকে নন হ্যারিটেজ এলাকা দেখিয়ে রেলের জায়গা হাতিয়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। 

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মহানগর আত্তয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, প্রকৌশলী হারুন, ইঞ্জিনিয়ার্স  ইনিস্টিটিউশন চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার  সেন, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. চন্দন দাশ,  মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন রাসেল, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি চৌধুরী ফরিদ, অধ্যাপক ওমর ফারুখ রাসেল প্রমুখ।  

কেএম/এসকেডি