ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি ওয়ার্ডে আমাদের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামবাগ ঈদগাহ মাঠ, ইসলামবাগ কলোনি মসজিদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গলি, কাপ্তানবাজারের মুরগি পট্টি, ধুপখোলা মাঠের উন্নয়ন কাজ, শ্যামপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পরিদর্শন এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এসটিএস উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা শহরই সারাবিশ্বের একমাত্র শহর যেখানে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকে। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন করার লক্ষ্যে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। গত বছর মে পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৫ বছরে মাত্র ২০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিল। আমরা এরই মাঝে আরও ১২টি নির্মাণ সম্পন্ন করেছি। আজকে ১৮ নং ওয়ার্ডে আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এর মাধ্যমে এখন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি ওয়ার্ডে আমাদের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

মেয়র বলেন, আমরা আশাবাদী এ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করব। এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কারণ জমির সংকুলান হয় না এবং বিভিন্ন বাধা আসে। তারপরও এ কার্যক্রম আমরা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে চলেছি। এর মধ্যে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করছি। অচিরেই ঢাকা শহর আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।

ফজলে নূর তাপস বলেন, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সফল হয়েছি। এ বছর অনেক অপপ্রচার, অপরাজনীতি, কূটকৌশল, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের বিভিন্ন চক্র থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত আমাদের ১ হাজার ৫০ জন মশককর্মী ও কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মশক শাখার কর্মকর্তাসহ সকলের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। নতুন যে কর্ম পরিকল্পনার আলোকে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী  খায়রুল বাকের, মুন্সি মো. আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি