স্বাস্থ্যের ‘বিতর্কিত’ নিয়োগ বাতিলই যথেষ্ট নয়, তদন্ত প্রয়োজন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিতর্কিত ১৮০০ জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিলই যথেষ্ট নয়, এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। একইসঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র ‘খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে’ উল্লেখ করায়, প্রকৃতপক্ষে ওই ঘটনায় আদৌ দুর্নীতি হয়েছে কিনা, কিংবা হয়ে থাকলে তাদের পরিচয় এবং কীভাবে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে, তা অমীমাংসিত থেকে গেছে।
বিজ্ঞাপন
ড. জামান বলন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্টভাবে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ প্রস্তাবের অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কি না বা জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নগুলো অবান্তর নয়। বরং আমরা মনে করি, দুর্নীতির যে ভয়াবহ বিস্তারের ইঙ্গিত সেই প্রতিবেদনে ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপই প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের আশংকা, অনিয়মের তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় নিয়োগ বাতিল করে আপাতত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এবং কার্যত দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকেই টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতে বিগত বছরে যে পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে পুরো খাতটি ঢেলে সাজানোর জোর দাবিও জানিয়েছে টিআইবি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কেউ এ খাতে বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি- এমন সব মন্তব্য করে দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আর নেই। পক্ষ-বিপক্ষের বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যত ধরনের অভিযোগ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নানামুখী স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টতার কথা আলোচিত হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিক শুদ্ধাভিযান এখন সময়ের দাবি।
আরএম/এমএআর/