ফ্লেভার-রঙে করমচা হয়ে যাচ্ছে চেরি ফল
খাদ্যে ভেজাল প্রয়োগ এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশীয় ফল করমচার মধ্যে কেমিক্যাল, ফ্লেভার এবং রঙ মিশিয়ে বানানো হচ্ছে চেরি ফল। নোংরা পরিবেশে ভেজাল সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য। আবার কেউ কেউ নামীদামি ব্র্যান্ডের নামে তৈরি করছে নকল চুলা। ফার্মেসিতে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানকালে এমন দৃশ্য দেখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এসব অপরাধে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ১৫ হাজার জরিমানা করা হয়। রাজধানীর কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, শনির আখড়া ও মগবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
কদমতলীর শনির আখড়া এলাকার মেসার্স আড়াইহাজার এন্টারপ্রাইজে অভিযান পরিচালনাকালে অধিদফতরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের নকল গ্যাসের চুলা তৈরি করতে দেখেন। এ অপরাধে মেসার্স আড়াইহাজার এন্টারপ্রাইজকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকায় আশা ফুড প্রোডাক্টসে অভিযান পরিচালনাকালে ভয়াবহ অবস্থা দেখেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য-পণ্যে অননুমোদিত ক্যামিকেল ব্যবহার করছে। ফ্লেভার ও রঙ দিয়ে করমচাকে চেরি ফল বলে কেক ও বিভিন্ন বেকারি খাদ্য-পণ্যে ব্যবহার করছে। এছাড়া নোংরা পরিবেশে কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কাজ করছেন। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে মাতুয়াইল এলাকার গ্রামীণ সুইটমিটকে ৩০ হাজার টাকা এবং খাবারে অননুমোদিত ফ্লেভার, ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ করায় সূর্যেবানু রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান করা হয়। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণসহ অন্যান্য অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্য-পণ্যের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্য তালিকা মনিটরিং করা হয়। এ সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিনি বিক্রয়ের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা এবং সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।
এসআই/এসকেডি