ই-কমার্স সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সবার কাছে ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লাখ-লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টিও হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে রাপা প্লাজায় জয়িতা ফাউন্ডেশনের ‘ই-জয়িতা মার্কেটপ্লেস’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব ও ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। ফলে নারীরা আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। জয়িতা ফাউন্ডেশনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ই-জয়িতা মার্কেটপ্লেস’ চালুকরা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এ মার্কেটপ্লেস দেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, দেশের নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব বাধা-বিপত্তি দূর করে উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ত করা ও তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিয়েছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের তরুণ-তরুণীরাও ই-কমার্সের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারছেন। করোনা মহামারিতে ই-কমার্স দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ই-কমার্স করছে এবং তাদের আয় আগের চেয়ে বেশি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, আজ দেশের যে উন্নয়ন, তার পেছনে নারীর অবদান রয়েছে। সরকার নারীদের আরও দক্ষ ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলছে। যার মাধ্যমে কর্মস্থলে নারীর সমতা নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সংযুক্ত হতে পারবেন। দেশের সব জেলা থেকে উদ্যোক্তাদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ক্রেতারা ভিডিও কলে পছন্দের পণ্য পছন্দ করতে পারবেন। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে পণ্য অর্ডার করা যাবে। যেকোনো ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেরপুর থেকে নারী উদ্যোক্তা জিমি আরা জেমি ও রাজশাহী থেকে কান্তা চক্রবর্তী অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তাদের পণ্য বিক্রি ও ই-জয়িতার সুবিধা তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রণালয় ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নারী উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচআর/ওএফ