অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লিকুইড আচার। কর্মীদের নেই স্বাস্থ্যের সনদ। ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স ও ট্রেডমার্কে চলছে ব্যবসা। এসব অপরাধে মেসার্স আয়েশা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড সাপ্লায়ারস কর্তৃপক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মুন্সিহাটি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান‌টির এসব অনিয়ম দে‌খে জরিমানা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. সজীব।

বিএফএসএ জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. সজীবের নেতৃত্বে ‘মেসার্স আয়েশা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড সাপ্লায়ারস’ প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মোড়কে রয়েছে তারিখের গড়মিল। ট্রেড লাইসেন্স ও ট্রেডমার্কের সঙ্গে প্যাকেটে লেখা নম্বরের মিল নেই। 

প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মীরই স্বাস্থ্য সনদ ছিল না। লিকুইড আচার বানানোর জন্য নেই কোনো সেফটি ইকুইপমেন্ট। অস্বাস্থ্যকর ওয়াশরুম, নেই পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজম। এসব অনিয়মে মেসার্স আয়েশা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড সাপ্লায়ারস কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩ অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বিএফএসএ নির্দেশনা মেনে চলবে বলে অঙ্গীকার করে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার ফারহানুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এমএআর/