রাজধানীর পল্লবী এলাকায় দুটি সমবায় সমিতি চালু করে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে র‍্যাব।  আটকরা হলেন- মো. মোহর আলী মোহন ও মোছা সোমা আক্তার (২৮)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যাংক চেকের পাতা ৮টি, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার ৩টি, একটি ডেবিট কার্ডসহ ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

র‍্যাব জানায়, পল্লবী এলাকায় প্রথমে স্থানীয়দের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া শুরু করে কয়েকজন। ঋণ দেওয়ার সময় ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে নানা জায়গায় স্বাক্ষর রেখে দিতো চক্রটি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রহীতারা ঋণের টাকাও ফিরত দিয়ে দিলেও চক্রটি গ্রহীতাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করে ঋণের টাকা নিজেদের মতো করে বাড়িয়ে লিখে রাখত। পরে গ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করত। আর যারা বাড়তি টাকা না দিতে চাইত তাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখাত চক্রটি।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৪ এর একটি দল পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এই দুই সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের চেকের পাতা ৮টি, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার ৩টি এবং একটি ডেবিট কার্ডসহ ৩টি মোবাইল জব্দ করে।

আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে তারা পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকায় যুব সমাজ একতা বহুমুখী সমবায় সমিতি ও ঢাকাস্থ শরীয়তপুর শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লি. নামে পৃথক দুটি মাল্টিপারপাস সমিতি খুলে বিভিন্ন লোকজনের নিকট ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে।

ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে ঋণ গ্রহীতাদের থেকে ব্যাংক চেকসহ ব্যাংক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয়। পরে ঋণের টাকা পরিশোধের পরেও ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে নিজেদের মতো টাকার পরিমাণ লিখে ঋণ গ্রহীতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে তা আত্মসাৎ করত।

যেসব ঋণ গ্রহীতারা বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করত তাদের নামে ভুয়া জিডিসহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখাত। এছাড়াও প্রতারকরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা এসব সত্যতা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।

এমএসি/ওএফ