সম্প্রতি নওগাঁয় এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য ‘ভুলভাবে’ গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কবিতা খানম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজের দেওয়া বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন তিনি।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমি নওগাঁ সদরে অনুষ্ঠিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করি এবং বক্তব্য প্রদান করি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু সাংবাদিক অনুষ্ঠানে প্রদত্ত আমার বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করে। বিষয়টি নওগাঁ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সেক্রেটারির দৃষ্টিতে আনা হলে তারা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অনলাইন পাের্টাল থেকে সংবাদটি প্রত্যাহার করেন।’

তিনি বলেন, ‘খােলা কাগজ নামক পত্রিকাটি প্রকাশিত সংবাদ ভুল ছিল মর্মে স্বীকার করে সংশােধনী দেয়। কিন্তু আমি লক্ষ্য করছি আমার এ সংবাদের সত্যতা যাচাই ছাড়াই অনলাইনভিত্তিক সংবাদপত্রে এডিটরিয়াল লেখা হচ্ছে। এছাড়াও টকশােতে আলােচনা হচ্ছে, যা সত্যের অপলাপ। যা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর, অসম্মানজনক এবং দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল।’

‘সংশ্লিষ্ট অনলাইন পত্রিকাগুলো সংবাদটি তুলে নিয়ে সংশােধিত সংবাদ প্রকাশের পরও যা আমি বলিনি তা বারবার আলােচনায় আসছে, যা দুঃখজনক এবং কোনোক্রমেই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপপ্রচারে সম্মানিত সংশ্লিষ্ট সঞ্চালক ও আলােচকগণ বিরত থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছি। আমার বক্তব্যের সংশ্লিষ্ট ভিডিওক্লিপ জেলা প্রশাসকের ফেসবুক, গ্লোবাল বাংলাদেশ ইউটিউব চ্যানেল এবং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্বোধনের জন্য গিয়েছিলাম। পুরো বক্তব্য ওটার ওপরেই ছিল। যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘সারা বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হলেও নওগাঁয় সুষ্ঠু হবে’, যেটা আমার বক্তব্যের মধ্যে ছিল না। আমার ভিডিও ক্লিপ তার সাক্ষ্য দেবে।

এসআর/এসকেডি