বাসে উঠতে ‘যুদ্ধ’ করতে হয়
উত্তরা থেকে গুলিস্তান যাবেন রবিউল ইসলাম। রাজলক্ষ্মী থেকে কয়েকবার বাসে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছেন। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে সকাল সকাল বের হয়েও কোনো লাভ হয়নি না। কাঙ্ক্ষিত বাসে উঠতে গিয়ে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাকে।
শুধু রবিউল ইসলাম একাই নন, রাজলক্ষ্মী থেকে সোমবার সকালের কাঙ্ক্ষিত বাসে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছিলো তার মতো অনেক যাত্রিকেই। গন্তব্যে যেতে তাদের দেরি হচ্ছিল।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে রবিউল ইসলাম বলেন, সকালে বাসে উঠতে প্রায়ই এমন হয়রানির শিকার হতে হয়। বেশিরভাগ বাসেই সিট থাকে না। কোনোটার আবার দরজা বন্ধ থাকে। দুই একটি বাস গতি কমিয়ে যাত্রী নামিয়েই চলে যায়। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের নিতে চায় না।
আরাফাত নামে এক যাত্রী বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত নগরী ঢাকা। অথচ সেবার দিক দিয়ে এখানে সাধারণ নাগরিকরা খুবই উপেক্ষিত। বিশেষ করে সকালের দিকে অফিসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষরা পরিবহন সমস্যায় নিয়মিত পড়ছেন। কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই।
এছাড়াও উত্তরার জসিমউদ্দিনসহ অন্যান্য বাস স্টপেজগুলোতেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। বাস ঠিকই চলাচল করছে, কিন্তু যাত্রী উঠতে পাড়ছেন না। বিশেষ করে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত সময়ে গণপরিবহনের এই তীব্র সমস্যা থাকে।
ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা এই সমস্যা সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
একে/এমএইচএস