শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকাদানসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সচিবালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালেয়র ৫নং গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে তারা সেখানেই সমাবেশ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ন্যুনতম ৫০ শতাংশ বেতন-সেমিস্টার ফি মওকুফ করা, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে নতুন করে প্রজ্ঞাপন ঘোষণা ও ১৭ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। 

সমাবেশে ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল বলেন, ছাত্রমৈত্রী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের ছাত্র সমাজের ন্যায্য দাবি আদায়ে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। করোনার শুরু থেকেই ছাত্রমৈত্রী বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে সরকারকে শতভাগ শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর দাবি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেওয়া হলেও এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছে দুই বছরের সেশনজট। আমরা এর অবসান চেয়েছি।

সমাবেশ থেকে দাবি করা হয়, পুলিশের হামলায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রাশেদ খান, ইয়াতুন্নেসা রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃস্টি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, ঢাকা মহানগর নেতা মালা আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কোনো হাতাহাতি হয়নি। পুলিশ কোনো হামলাও করেনি। তারা নিজেরাই ব্যারিকেড সরাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এখন বলছে পুলিশ হামলা করেছে। এটা সত্য নয়।

এমএইচএন/ওএফ