খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে এবার পুষ্টি নিরাপত্তায় নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিদফতর মিলিনায়তনে মিডিয়া স্যানিটেশন ওয়ার্কশপ অন পার্টিসিপেশন অব বাংলাদেশ ইন দ্য ইউএন সিস্টেম সামিট শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হত। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।

পুষ্টি বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে পিছিয়ে থাকব। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবার মধ্যে খাদ্যসচেতনতা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অনেকেই খাদ্য ব্যবহারের নিয়ম জানি না। আবার অনেকেই জেনেও তা মানি না। এসব বিষয়ে সচেতনতা দরকার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের বিভিন্ন স্তরকে নির্ধারণ করার জন্য রোমভিত্তিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বক্তারা জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। দেশ চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাছ-মাংস, ফল এবং শাকসবজি উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শস্য বহির্ভূত খাত ডায়রেটরি এনার্জি গ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ৫ বছরের শিশুদের আন্ডারওয়েট সূচক অর্ধেক কমেছে। খর্বাকৃতি সূচক এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। 

একে/জেডএস