ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেক মামলা
ইভ্যালির রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে এবার প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ মোট ২০ জনকে আসামি করেছেন কামরুল ইসলাম নামে পণ্য সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু ইভ্যালি তার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমৃতা ঢাকা পোস্টকে জানান, ৪২০, ৪০৬, ৫০৬ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে এই তিন ধারায় অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ছাড়াও আসামি করা হয়েছে- প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম হেময়, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কমার্শিয়াল জাওয়াদুল হক চৌধুরী, হেড অব অ্যাকাউন্টস সেলিম রেজা, অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার জুবায়ের আল মাহমুদ, অ্যাকাউন্টস শাখার কর্মকর্তা সোহেল, আকিবুর রহমান তূর্য, সিইও রাসেলের পিএস মো. রেজওয়ান, বাইক ডিপার্টমেন্টের সাকিব রহমানসহ ২০ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা জানান, ইলেক্ট্রিক পণ্য সরবরাহ করলেও পেমেন্ট পাননি। পণ্য ডেলিভারি বাবদ পাওনা টাকা চাইলে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। মামলাটি ধানমন্ডি থানা পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওইদিন বিকেলেই রাসেলকে আটক করে র্যাব সদরদফতর নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের গুলশান থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
জেইউ/এসএম