নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজার পরিবার পাবে ৫০ কোটি টাকা
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৫১ হাজার ৯৪টি পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা সহায়তা দেবে সরকার। ৩১ জেলার ৯৬ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তিন ক্যাটাগরিতে এ অর্থ সহায়তা পাবে।
এ জন্য ৯৬ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অনুকূলে ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ মঞ্জুর করে সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চার সদস্যের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা, পাঁচ সদস্যের পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছয় সদস্যের পরিবার পাবে ৭৫ হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
৩১ জেলা হলো : ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, জামালপুর বাগেরহাট, নড়াইল ও সুনামগঞ্জ।
চিঠিতে বলা হয়, চলতি অর্থবছর (২০২০-২১) বাজেটের অর্থ বিভাগ ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকার জনসাধারণের জন্য পুনর্বাসন তহবিল’র অধীনে বিশেষ অনুদান খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই টাকা থেকে ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকার জনসাধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিদ্যমান নির্দেশিকা অনুযায়ী নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাভিত্তিক প্রণীত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বণ্টনের জন্য ৩১ জেলার ৯৬ ইউএনওর অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুরি দেওয়া হলো।
মঞ্জুরির শর্তে বলা হয়েছে, উপজেলায় প্রাপ্ত মোট বরাদ্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তিনটি ক্যাটাগরির (চার সদস্যবিশিষ্ট, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ও ছয় সদস্যবিশিষ্ট) পরিবারগুলোর মধ্যে বণ্টন করতে হবে। ইউএনওদের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ উপকারভোগীদের মধ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকায় অতি-দরিদ্র/দুস্থ জনসাধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা’ কার্যক্রম সম্পর্কিত নির্দেশিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ইউএনওরা বিতরণ কার্যক্রম শেষে দেওয়া অর্থের পরিমাণসহ উপকারভোগীদের তালিকা (পরিবার প্রধানের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) সংবলিত প্রতিবেদন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে পাঠাবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করবে ও বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান ও নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালন করবে।
এসএইচআর/এসকেডি