গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পরিচালিত অভিযানে ৯ শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

নকশাবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণের দায়ে প্রায় ৯ মাস আগে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ ও জাকের সুপার মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

ওই সময় ৯ শতাধিক অবৈধ বা নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পর সেখানে বাণিজ্যিক পার্কিং নির্মাণের কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ৯ মাসেও সে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। উচ্ছেদ অভিযান পর্যন্তই থেমে আছে তাদের এ কার্যক্রম।

ওই সময় উচ্ছেদ অভিযানের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মার্কেটগুলোয় বাণিজ্যিকভাবে পার্কিং নির্মাণ করা হবে। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানের ৯ মাস পার হলেও কোনো কাজ করতে পারেনি সংস্থাটি।

এদিকে উচ্ছেদের পর ডিএসসিসি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুনরায় আগের স্থানেই অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর এ, বি ও সি ব্লক (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) এবং সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৯ শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এ মার্কেটে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের ওই মার্কেটগুলোর গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত, সিঁড়ি, গলি, টয়লেট, লিফটের জায়গায় নকশাবহির্ভূত এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছিল।

অথচ আইন অনুযায়ী পার্কিং বা নকশাবহির্ভূত স্থানে অন্য কিছু নির্মাণের বিধান নেই। এছাড়া এসব অবৈধ দোকানের কারণে মার্কেটটি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিল। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই অবৈধ দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিএসসিসি। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার পর তা বাণিজ্যিক পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। কিন্তু ৯ মাস পার হলেও কোন কাজই শুরু করতে পারেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযানের পর সেখানে পার্কিং নির্মাণ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (মার্কেট নির্মাণ সেল) তৌহিদ সিরাজ বলেন, এ মার্কেটগুলোর বেজমেন্টে আমরা পার্কিং নির্মাণ করব। সে অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রমগুলো চলমান আছে। পার্কিং ছাড়া অন্যকিছু করতে দেওয়া হবে না। মার্কেটগুলোতে পার্কিং নির্মাণ বিষয়ে আমাদের ইস্টিমেট প্রক্রিয়াধীন। এরপরই আমরা সার্বিক কার্যক্রম শুরু করব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, মার্কেটের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কিছু পর থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, শুরু হয় লকডাউন। যে কারণে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে পার্কিং নির্মাণের অগ্রগতি তাৎক্ষণিকভাবে হয়নি। তবে আমরা উচ্ছেদকৃত মার্কেটগুলোয় বাণিজ্যিক পার্কিং নির্মাণের কাজ করব। যেহেতু সব কিছুই থেমে ছিল করোনার জন্য, তাই আমরাও এই উদ্যোগের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, অভিযান পরিচালনা করে যেসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে সেখানে আমরা দ্রুত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের প্রকৌশল বিভাগ প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। এছাড়া এখনও যেগুলো মার্কেটের অবৈধ রুম আছে, সেগুলোও ভেঙে দেওয়া হবে। নিচে পার্কিং উপযোগী করতে আমাদের ইস্টিমেট করা হয়ে গেছে। আমরা শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব।

এএসএস/এসকেডি