অতশত বুঝি না, টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা চাই
‘অতশত বুঝি না আমাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। নইলে আমরা সবাই পথে বসে যাব। কেউ ঋণ করে, কেউ ধার করে, কেউবা নিজের সব পুঁজি ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেছি। এসব টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা চাই সরকারের কাছে।’
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনরত গ্রাহকেরা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রাসেলকে আটকের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া গ্রাহকরা। তাদের দাবি, টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য একটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাতে সমবেত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইভ্যালির গ্রাহক রিটেইলারসহ ইভ্যালির সঙ্গে যুক্তরা এই আন্দোলন শুরু করেন।
তিন লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই অর্ডার পাননি হৃদয় হাসান নামে একজন। তবে অতীতে তিনি ইভ্যালির মাধ্যমে বেশ লাভবান হয়েছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আটক কোনো সমাধান নয়, যদি মনে হয় এটাই সমাধান, তাহলে আমাদের টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা কী? আইনি জটিলতায় রাসেল সাহেব যদি বছরের পর বছর জেলে থাকেন, তাহলে আমরা এই টাকাগুলো কীভাবে পাব? এর একটা সুরাহা সরকারের করা উচিত। কেননা সরকারের পক্ষ থেকেই তো রাসেলকে আটক করা হয়েছে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের দাবি, তিনি ২০ লাখ টাকার বেশি ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইভ্যালির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছি। আমি মনে করি, এখন রাসেলের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাই এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমাদের টাকা ফেরত পেতে কোথায় যাব, কার কাছে যাব, কীভাবে যাব এর কোনো সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা আমাদের কাছে নেই। আমরা কোনো কিছু বুঝতে চাই না, আমাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হোক। এর পেছনে অবশ্যই একটা ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা রাসেলকে আটকের পেছনে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার বিকেলে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। এ মামলার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
একে/ওএফ/জেএস