মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে চুরি করা মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করতেন গ্রেফতার হওয়া চক্রটির সদস্যরা। কিছুদিন আগেও চক্রটি প্রকল্পের দুই টন মালামাল ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে।

প্রকল্পের বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জড়িত চক্রটির মূল হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। 

গ্রেফতাররা হলেন, চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেন (২৪), দুলাল হোসেন (৩৯), হাসমত বেপারী (৩৪), রবিন (১৮) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের কাজে ব্যবহৃত এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল ও তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে পল্লবী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবীর সিরামিক রোড এলাকা থেকে দুলাল নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেনসহ বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে আরও কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেট্রোরেলের মালামাল চুরির ঘটনা শুরু হয়। পল্লবী এলাকার মেট্রোরেলের ৮৪ নম্বর পিলার থেকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার ২৪৭ নম্বর পিলারের এরিয়ায় চুরিগুলো হচ্ছে।

কী পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে জানতে চাইলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সূত্রের বরাতে এডিসি মো. আরিফুল বলেন, চুরিতে জড়িতরা কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের দুই টন মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। 

তিনি বলেন, তারা প্রথমে মালামাল চুরি করে তা ভাঙারি হিসেবে প্রস্তুত করত। পরে প্রস্তুত করা মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করত। বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুটি দোকান থেকে মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহ আগেই মেট্রোরেলের মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য আলাদা ফোর্স দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা আলাদা ফোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

জেইউ/আরএইচ