পথ চেনানোর কথা বলে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় এক পথহারা কিশোরীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সীতাকুণ্ডে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরী ও সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়াঁ।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, লরির হেলপার মো. মেহেদী হাসান মুন্না (১৯), নৈশপ্রহরী মো. সাকিব (২১) ও মো. হাসান তারেক রনি (৪০)।
ডবলমুরিং থানার এসআই অর্নব বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই কিশোরী ৫ সেপ্টেম্বর তার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তার দেখানোর জন্য আগ্রাবাদ যায়। আগ্রাবাদ যাওয়ার পর মানুষের জটলায় ভাবীকে হারিয়ে ফেলে। ভাবীকে না পেয়ে কান্না করতে করতে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সামনের দিকে যায়। তখন আসামি মুন্না মেয়েটিকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করে। তখন মেয়েটি জানায়, তার বাসা মনছুরাবাদ এবং সে রাস্তা চেনে না।
তখন মুন্না মেয়েটিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। সে সিএনজিতে করে সাগরিকা, অলংকারসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাতে থাকে। এরপর মুন্না বাসযোগে রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার কালুশাহ মাজার এলাকায় গিয়ে নামে। তখন মুন্না মেয়েটিকে বলে আজ রাত হয়ে গেছে, আমার বাসায় থেকে যাও। কাল বাসায় দিয়ে আসব। এ কথা বলে আসামি শাকিবের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় কিশোরীকে। পরে কিশোরীকে তিনজন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে।
এসআই অর্নব বড়ুয়া বলেন, ঘটনার পর মেয়েটি আতঙ্কগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের কিছু জানায়নি। পরিস্থিতি বোঝার জন্য মুন্না বুধবার রাতে মনছুরাবাদ এলাকায় কিশোরীর বাসার আশপাশে এসে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। মেয়েটি তাকে দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে এবং ঘটনা সবাইকে খুলে বলে। তখন স্থানীয় লোকজন মুন্নাকে ধরে ফেলেন এবং ট্রিপল নাইন ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে মুন্নাকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে সাকিব ও হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূইয়াঁ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় বোন থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কেএম/আরএইচ