উপ-সচিব সঞ্জয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় মহিলা পরিষদ
স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
পাশাপাশি ধর্ষণে জড়িত উপ-সচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাগীয়, আইনি ব্যবস্থাসহ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্যাতনের শিকার নারীর ন্যায়বিচার পাওয়া ও নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একজন স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় থেকে মেসেঞ্জার ও ফোনে তাদের যোগাযোগের একপর্যায়ে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই কর্মকর্তা। পরে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারী ওই উপ-সচিবকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করলে উপ-সচিব ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে নির্যাতনের শিকার নারীকে চাকরিচ্যুত, এমন কী মিথ্যা মামলার হুমকিও দেয় উপ-সচিব।
গত বরেছর ২৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানা শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ওই উপ-সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন। অন্যথায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
মহিলা পরিষদ ওই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার নারীর ন্যায়বিচার পাওয়াসহ তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
জেইউ/জেডএস