গৃহহীনদের ঘরের দুর্নীতি তদন্ত দুদক কেন বন্ধ করবে?
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের দেওয়া ঘর নিয়ে দুর্নীতি বা অনিয়মের তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন কেন বন্ধ করেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন? তাদের তো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তদন্ত চালু রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখতে হবে এসব কারা ভাঙলো, তারা কারা ও তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তারা কেন ভাঙলো?
শেখ হাসিনা বলেন, বলতে গেলে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবারের যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে এক সংসদ সদস্য প্রশ্ন তুলেছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এটা আমরা তদন্ত করছি। দেখা হয়েছে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি। দশ-বারোটি জায়গায় অতিবৃষ্টি হয়েছে, সেই বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল।
তিনি বলেন, ৩০০টি জায়গায় যেখানে প্রতিটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে। তদন্ত করে দেখা গেছে, সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে। আমি আগামীতে ছবি দেখাব। ইটের গাঁথুনির পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখানেতো দুর্নীতি হয়নি। এটা কারা করল? তবে হ্যাঁ, কারা করেছে তদন্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অ্যারেস্ট হয়েছে, অন্যদেরও করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকার প্রধান বলেন, একজন সংসদ সদস্য বললেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন নাকি বলছে আমরা আর তদন্ত করবো কী, প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন।’ কিন্তু যে ভেঙেছে তার নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য ছিল। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তো এ কথা বলার কথা না। এ কথা যে কর্মকর্তা বলেছে যদি আমি জানতে পারি তাহলে তার ব্যাপারেও খোঁজ নিতে হবে। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো যে ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটার তদন্ত তাদের করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গরিবকে ঘর করে দেবো; সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে? এখন কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে ঘর করে দিচ্ছি যাতে সহজে কেউ ভাঙতে না পারে।
এইউএ/এমএইচএস