জিএসপি প্লাস সুবিধা ইইউ’র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়
বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস (GSP+) সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জিএসপি প্লাস (GSP+) সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাজার সুবিধা পাচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী তিন বছর ট্রানজিশন টাইম পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ সালের পর ইইউতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখতে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর লেবার সেক্টর প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাস-এর শর্ত পূরণে মিনিমাম এজ কনভেনশন ১৯৭৩ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইইউর বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে কি না সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া ভবিষ্যতে ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রণয়ন করছে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায় তার জন্য সরকার কাজ করছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানি করে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগের আগাম বার্তা মোবাইলে অবহিত করার জন্য আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যেকোনো মোবাইল থেকে টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বরে কল করে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আগাম বার্তা, দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা, নদ-নদী বন্দরগুলোর সতর্কবার্তা এবং বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে।
এইউএ/এসএসএইচ