মেট্রোরেলের আইবিম খণ্ডখণ্ড করে বিক্রি করত চক্রটি
মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আইবিম ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করত চক্রটি। পরে সেগুলো খণ্ডখণ্ড করে কেটে তা বিভিন্ন ভাঙারি ও চাহিদাকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে আসছিল তারা। গত কয়েক বছর ধরে চক্রটি ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এভাবে চুরি করে আসছিল।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির ১১ সদস্যকে আটক করে র্যাব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা ১৮টি আইবিমসহ একটি ট্রাক ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আটকরা হলেন- মো. মোতালেব শিকদার (৫৪), মো. নজরুল ইসলাম (৪৪), মো. হাবিব উল্লাহ ভুঁইয়া (৪৩), মো. ওয়ালীউল্লাহ ওরফে বাবু (৪১), সুমন ঘোষ (৪৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৮), মো. আ. ছাত্তার (৫৮), মো.আশিক (৩১), মো. আমজাদ হোসেন রাজন (৩৬), মো. মনির (৪০) ও মো. রিয়াজুল (২০)।
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আইবিম ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করে আসছে। তারা একটি বিশেষ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গেও জড়িত।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হয়ে আসছে। প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম চলাকালীন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ স্তূপ আকারে থেকে যায়। চক্রটি এসব সু-কৌশলে সুবিধা বুঝে সুযোগ মতো চুরি করে তাদের পছন্দ মতো গোপন একটি জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সেগুলো সহজে বহনযোগ্য করে বিভিন্ন ক্রেতাদের কােছে তা বিক্রি করে থাকে।
চক্রটি ভিন্নভাবে তথ্যের সংগ্রহ করে প্রজেক্টের আরও অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় বিভিন্ন উপকরণ সুবিধা বুঝে সুযোগমতো চুরি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও তিনি জানান।
এমএসি/জেডএস