দুদকের অভিযান
জীবন বীমার ৫১২ পদের পরীক্ষায় জালিয়াতি!
জীবন বীমা করপোরেশনের উচ্চমান সহকারীসহ ৫১২ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসসহ বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। অভিযোগের তির করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ পেয়ে সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজীর নেতৃত্বে একটি দল করপোরেশন অফিসে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে পরীক্ষাসংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবন বীমা করপোরেশনের এমডি, পরিচালকসহ (প্রশাসন) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। সত্যতা উদঘাটনের জন্য এ সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণ ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ এবং বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদকের আভিযানিক টিম।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম এগোচ্ছে। এতদিন যারা সিন্ডিকেট করে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দফতর থেকে অনুসন্ধান কিংবা তদন্ত হোক, সমস্যা নেই। স্বচ্ছতার সঙ্গে ও সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর করপোরেশনের উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও অফিস সহায়ক পদে ৫১২ জনকে নিয়োগের জন্য এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে এসব পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এসব পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করপোরেশেনের চুক্তি হলেও এমডি পছন্দের লোকদের দিয়ে একটি কমিটি করে প্রশ্ন তৈরি করে ৫১২ জন পরীক্ষার্থীর কাছে তা বিলি করেন বলে অভিযোগ এসেছে। প্রার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আট লাখ টাকা করে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এমডির সঙ্গে করপোরেশনের আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরএম/আরএইচ