কাল নয়, ভারতের টিকা আসছে পরশু
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে যে টিকা দেওয়ার কথা ছিল তা আগের ঘোষিত সময়ে আসছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম সোমবার রাতে জানিয়েছিলেন বুধবার আসবে এই টিকা। তবে এখন জানা যাচ্ছে বুধবার নয়, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) আসছে এই টিকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নতুন এ সময়ের কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্রটি বলছে, কাল নয়, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ভারতের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) পাবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। পরশু দুপুর দেড়টায় এয়ার ইন্ডায়ার ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এই টিকা।
আগামীকাল অথবা পরশু ভারতের দেওয়া উপহারের টিকা আসবে। তবে ফ্লাইট শিডিউল না পাওয়ায় নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। যে টিকা আসছে তা প্রথমে ঢাকায় প্রয়োগ করা হবে। সেটা জানুয়ারিতেই হতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এজন্য সম্পূর্ণ তৈরি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
এর আগে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামীকাল অথবা পরশু ভারতের দেওয়া উপহারের টিকা আসবে। তবে ফ্লাইট শিডিউল না পাওয়ায় নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। যে টিকা আসছে তা প্রথমে ঢাকায় প্রয়োগ করা হবে। সেটা জানুয়ারিতেই হতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এজন্য সম্পূর্ণ তৈরি।
এ মাসেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই টিকা প্রয়োগের কথা ভাবছি। তবে জাতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ীই টিকা প্রয়োগ হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার টিকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে জেলাপর্যায়ে চারটি টিম, উপজেলায় দুটি টিম ও হাসপাতালে ছয়টি টিম কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন ছাড়াও জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন দুই লাখ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন দেশে টিকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রয়োগে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় হাসপাতালও তৈরি আছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা প্রয়োগের জন্য ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। ২০ লাখ আর পরের ৫০ লাখের টিকা মজুদের প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিকভাবে জেলা, সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পর্যায়কে ধরে আনুমানিক ২ লাখ টিকা দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিনটি ওয়্যার হাউজে টিকাগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
টিআই/এনএফ