করোনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্বস্তিদায়ক অবস্থানে বাংলাদেশ
করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির পরিসংখ্যানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনার সার্বিক দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছি।
বিজ্ঞাপন
পুরো বিশ্বের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও করোনা ভাইরাস ভীষণভাবে আক্রমণ করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও দেখা যাচ্ছে, এ অঞ্চলের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে একটু বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। এরপরেই রয়েছে ভারতের অবস্থান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছি।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৬ জন, যা কিনা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে পাঁচ হাজার ৯২১ জন কম। অর্থাৎ ২৬ শতাংশ কম। সেই সঙ্গে গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৮০ জনের মৃত্যু কম হয়েছে, যা ৩২ শতাংশ কম। এটি হচ্ছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, গত সাত দিনে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচেই রয়েছে, আর শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সেটা নেমে এসেছে সাত শতাংশে।
নিয়মিত এ ব্রিফিংয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। এ সময়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে জুলাই মাসে, তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আগস্ট মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছে তার চেয়ে কিছুটা কম। আর চলতি মাসের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯২৪ জন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সংক্রমণের শীর্ষ ১০ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা জেলা। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম।
একে/জেডএস