সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ‘উপহার’ হিসেবে দেওয়া ২০ লাখ ডোজ টিকা জানুয়ারিতেই প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই (২০ জানুয়ারি) আসবে ভারত সরকারের দেওয়া টিকা। এক্ষেত্রে আমরা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই টিকা প্রয়োগের কথা ভাবছি।’

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

টিকা প্রয়োগে আমাদের ন্যাশনাল প্লান করা আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা আগে আসলে আগে শুরু করব। তবে, ন্যাশনাল প্লান অনুযায়ীই টিকা প্রয়োগ হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামীকাল অথবা পরশু ভারতের দেওয়া উপহারের টিকা আসবে। তবে ফ্লাইট শিডিউল না পাওয়ায় নির্ধারিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। যে টিকা আসছে তা প্রথমে ঢাকায় প্রয়োগ করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এজন্য সম্পূর্ণ তৈরি। 

জাহিদ মালেক বলেন, সরকার টিকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে জেলাপর্যায়ে চারটি টিম, উপজেলায় দুটি টিম ও হাসপাতালে ছয়টি টিম কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন ছাড়াও জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন দুই লাখ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন দেশে টিকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রয়োগে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় হাসপাতালও তৈরি আছে।

তিনি আরও বলেন, টিকা প্রয়োগের জন্য ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। ২০ লাখ আর পরের ৫০ লাখের টিকা মজুদের প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিকভাবে জেলা, সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়নপর্যায়কে ধরে আনুমানিক ২ লাখ টিকা দেওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেন, কাল আসছে সেরামের করোনা টিকা। পরে আরও ৫০ লাখ ডোজ আসলে সমন্বয় করে একসঙ্গে সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে। এগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিনটি ওয়ার হাউজে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।

টিআই/এফআর/এমএইচএস