দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির বর্তমানে নয় হাজার ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার গ্যাসের বিল বকেয়া বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। 

সংসদে উপস্থাপিত প্রতিমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী সবচেয়ে বেশি বকেয়া তিতাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির বকেয়া ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, পঞ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। 

প্রতিমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও আবার বেড়েছে। ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে তিতাসের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ সিস্টেম লস হয়।

২০০৯-১০ অর্থবছরে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে।

এইউএ/জেডএস