সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব
বজ্রপাতের আগাম বার্তা প্রদানসহ ঝুঁকি হ্রাসে সরকার অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
শনিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বজ্রপাত বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার বজ্রপাতের আগাম বার্তাসহ ঝুঁকি হ্রাসে অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আশা করছি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহহাব বলেন, বজ্রপাতের কারণে বিশ্বে বছরে ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। প্রকৃতির প্রয়োজনে প্রাকৃতিক নিয়মেই বজ্রপাত হবে। বজ্রপাত থামানো বা বন্ধ করা যাবে না। তবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা কমানো যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম. আরশাদ মোমেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে না পারলে বজ্রপাত বাড়বেই।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জীবন পোদ্দার বলেন, তাপমাত্রা বাড়লেই বজ্রপাতের মাত্রা বাড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাওহীদা রশিদ বলেন, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদেরকে একত্রে অনেকগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেমন; জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আগাম পূর্বাভাস প্রদান ও বজ্রপাত সহনশীল অবকাঠামো তৈরি।
এনআই/ওএফ