বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপিকে আমার প্রশ্ন, যদি খুনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হতেন, কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে ২৬ সেপ্টেম্বর এই ইনডেমেনিটি অডিনেন্স পাস করা হয়েছে। এই অডিনেন্স বাতিল করা যাবে না? এই রকম তো কেউ করে নাই। উনি এই বিচারটা করলেন না কেন? দেশের একজন নাগরিকের এটা অধিকার।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতে অংশ নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদের এক মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব অধিবেশন শুরু হয়।

আনিসুল হক বলেন, কনস্টিটিউশন যদি নাও থাকে এইটা জনগণের সিআরপিসিতে অধিকার। কোর্ট অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউরেও অধিকার যে একটা হত্যাকাণ্ড যদি সংঘটিত হয় বা একটা অপরাধ যদি সংঘটিত হয় সে থানায় গিয়ে একটা এজাহার দায়ের করতে পারে। সেই অধিকারটুকুও হরন করে নিয়েছিলেন। ২১ বছর এটাও কারেক্ট করেন নাই। আর আজকে আপনি বিএনপির সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন যে এই তর্কবিতর্ক বন্ধ হোক।

তিনি বলেন, তর্কবিতর্ক কীভাবে বন্ধ হবে? যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা জাতির পিতাকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ করবেন না। আপনারা গ্রহণ করেন আর না করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাতে কিছু যায় আসে না। তার কারণ তিনি সত্যি সত্যি জাতির পিতা। বাঙালি জাতি সেটা জানে এবং ধরে রাখবে। সেইখানে এই বিতর্ক চলবেই, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার এই যে পাকিস্তান করার উদ্দেশে যে বিএনপির ছিল সেটা ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে না যাচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, উনি (হারুনুর রশীদ) বললেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সম্পর্কে গত মাসে যে আলোচনা সভা সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো এই সৎ সাহস দেখিয়েছেন যে তিনি এটা প্রশ্ন করেছেন এবং তার মানেই তিনি এটা কগনিজেন্সি নিয়েছেন। মাননীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বিএনপির ব্যাপারে যেটা বলছেন, সেটা যদি সত্য হতো তাহলে আমি খুশি হতাম।

এইউএ/এসএম