চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। মাছের বাজারে দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে রুপালি ইলিশ। তবে এই মাছের রাজাকে ব্যাগে তুলতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতারা নাগাল পাচ্ছেন না। আকাশচুম্বী দাম হওয়ায় ইলিশের পরিবর্তে অন্য মাছ কিনেই ফিরতে হচ্ছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার মাছের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ ক্রেতারাই ইলিশের দাম শোনার পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কেনার। কেউ কেউ দুই-একটা কিনছেন। 

চড়া দাম, ক্রেতারা নাগাল পাচ্ছেন না ইলিশের

সরেজমিনে রাজধানীর উত্তরার জহুরা মার্কেটে দেখা যায়, মাছের বাজারে একাধিক দোকানে ঝুড়িতে বরফ দিয়ে ঢাকা রয়েছে ইলিশ। ঝুড়ির উপরে কয়েকটি ইলিশকে সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিক্রেতারা। অনেকেই হাঁক ছেড়ে ডাকছেন ক্রেতাদের। তবে অধিকাংশ ক্রেতারাই দাম শোনার পর আর ইলিশ-মুখী হচ্ছেন না। বিক্রেতাদের চাওয়া দামের চেয়ে কম দাম বলে অন্য দোকানে ঢুঁ মারছেন।

অবশ্য কেউ কেউ বেশি দাম দিয়েই ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেসরকারি চাকরিজীবী কবির আহমেদ দুই-তিন দোকান যাচাই-বাছাই করে এক দোকান থেকে ইলিশ কিনে বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঢাকা পোস্টের সাথে অল্পকালে এ ইলিশ ক্রেতা জানান, প্রতি বছরই ইলিশ মাছ কেনা হয় তার। 

গত বছর এই সময়ে ইলিশের দাম বেশ কম ছিল

অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে কবির আহমেদ বলেন, গত বছর এই সময়ে ইলিশের দাম বেশ কম ছিল। এবার শুরু থেকেই ইলিশের দাম অনেক বেশি। বছরের এই সময়ে ইলিশের দাম কম থাকে বলে অনেকেই স্বাদের মাছটি কিনতে পারেন। কিন্তু এবার নাগাল পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে।

গত ৬ বছরের ইলিশ মাছ বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে শফরকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কেজি-প্রতি ইলিশের দাম একটু বেশি। আমাদের কাছে পাইকাররা বেশি দাম নিচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম বেশি। 

এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশের দাম ৬০০ থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা

শফরকুল ইসলাম জানান, গত বছর এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা অনেকেই দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। মূলত ইলিশের সরবরাহ কম, তাই দাম একটু বেশি।

সরেজমিনে দেখা যায়, আকার ভেদে (৪০০ গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজির ওপরে) বিভিন্ন দামে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির নিচের ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর কেজির ওপরের ওজনের ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

একে/এইচকে