‘আমরা তাকে মিস করব, মিস করবে বিমানও’
‘আমরা তাকে মিস করব, বিমানও তাকে মিস করবে। তিনি ২০ বছরের বেশি চাকরি করেছেন বিমানে। অনেক অধ্যবসায়ের পর দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছান।’
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ ভারত থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে এসব কথা বলেন ক্যাপ্টেন ইমরান।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটটি ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে এনেছে। ফ্লাইটটির দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ইমরান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ এলে টুপি খুলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পাইলটরা।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাপ্টেন ইমরান বলেন, ২৭ আগস্ট নওশাদ প্লেনের ভেতরেই সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলেন। পরে প্রথম অফিসার মোস্তাকিম পিয়াসের একক দক্ষতায় প্লেনটি অবতরণ করান।
৩০ আগস্ট বেলা ১১টায় ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তার মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে ছিল।
২৭ আগস্ট বিমানের ওই ফ্লাইটে ওমানের মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। ভারতের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ৪৪ বছর বয়সী পাইলট নওশাদ হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হন। পরে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। পাইলট নওশাদ সর্বশেষ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বিমানের আরেকটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করিয়ে ১৪৯ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।
এনআই/এইচকে