জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কঠোরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এজন্য বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের তাগিদ দিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিরা।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ যৌথভাবে সভাটি আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যার ফলে আইনটি তামাকের ব্যবহার কমাতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। আইনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলার আহ্বান জানান তারা।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং খাদিজাতুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে করোনার এ সময়ে সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করেন তারা। এছাড়া এফসিটিসির আলোকে দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার নির্ধারণ করে দেওয়া এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে মতো দেন তারা।

সভাপতির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে কয়েকটি ক্ষেত্রে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। আইনটি সংশোধন করা হলে তা আরও কার্যকরভাবে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জোর দিয়ে সভায় মকবুল হোসেন বলেন, তামাকের ব্যবহার কমানোর জন্য এসব ক্ষতিকর পণ্যের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। তামাকের পরোক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধ ও যত্রতত্র তামাকদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা দরকার বলে মত দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী প্রমুখ।

টিআই/এসএম