এখন পর্যন্ত চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ আরও ১ লাখ ১ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৩০ আগস্ট) ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এর আগে গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯১ হাজার, ২২ আগস্ট দুই লাখ ২২ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়।

এছাড়া গত ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এবং ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, চাল আমদানির শর্তের মধ্যে রয়েছে, আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে আমদানির চাল স্থলবন্দরসমূহ দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দামও কমতে শুরু করেছে।

একে/এসকেডি