মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি, পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ ১৭টি সংগঠন। একই সঙ্গে তারা ৯ দফা সুপারিশও জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু নির্মূল সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সবার সমন্বিত উদ্যোগ।

শনিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনগুলোর যৌথ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৃষ্টির পরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে যায়। এগুলোকে কীটনাশক দিয়ে ধ্বংস করতে হবে। সকল স্থানের জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে ও বংশ বৃদ্ধি করছে।

দুই সিটি করপোরেশনের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের দায় প্রধানত নাগরিকদের, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকারের। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর, রাজউক, পরিবেশ অধিদফতর, সেবা প্রদানকারী সংস্থা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ আরও অনেক সংস্থার দায় রয়েছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। এডিস মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। নিজের ঘরবাড়ি ও চারপাশ পরিষ্কার রাখা, তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি কোথাও পানি জমতে না দেওয়া ও মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব। ঘরে ঘরে প্রবেশ করে মশা মারা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের কাজ নয়। তাদের দায়িত্ব ঘরের বাইরে এডিস মশা যাতে বংশ বৃদ্ধি করতে না পারে। নগরীর নালা-নর্দমা, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, মশা-মাছির প্রজনন স্থল ধ্বংসে লার্ভিসাইডিং এবং মশা নিধনে ফগিং করা দুই সিটি করপোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, বানিপার সভাপতি প্রকৌ. মো. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ গ্রিনরুফ মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. গোলাম হয়দার, বিডি ক্লিকের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসাইন প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ