করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সভা-সেমিনার অনলাইন বা জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগের মতো আপ্যায়ন বিল ও সম্মানী নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এর প্রেক্ষিতে অনলাইনে সভা-সেমিনারের সম্মানী নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জুম প্ল্যাটফর্মে অনলাইনভিত্তিক সেমিনার বা কর্মশালায় অংশ নিলে সহায়ক কর্মচারীরা এখন আর সম্মানী পাবেন না। তবে অংশগ্রহণকারীরা সম্মানী পাবেন আগের তুলনায় অর্ধেক।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। নতুন হার নির্ধারণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়সহ সব দফতরে পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।

তবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক, সেমিনার বা কর্মশালার সঞ্চালক, আলোচক ও র‍্যাপোর্টিয়াররা আগের হারেই সম্মানী পাবেন। তাদের সম্মানী দেওয়া হবে ২০১৮ সালের জুন মাসে একই বিষয়ে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী।

ওই নির্দেশনা ছিল অবশ্য ‘অনুন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত সেমিনার বা কর্মশালার খাতভিত্তিক সম্মানী হার’। আজকের বিষয় হচ্ছে ‘জুম প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত সেমিনার বা কর্মশালার খাতভিত্তিক সম্মানী হার’।

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ৩ হাজার ৫০০, সঞ্চালক ৩ হাজার, আলোচক ২ হাজার ৫০০ এবং র‍্যাপোর্টিয়ার ২ হাজার টাকা করে যে পেয়ে আসছিলেন, এখনো সে হারেই পাবেন।

সহায়ক কর্মচারীরা এত দিন ১ হাজার ৫০০ টাকা করে সম্মানী পেয়ে আসছিলেন। এখন তারা সম্মানী পাবেন না। আর সেমিনার বা কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা জনপ্রতি ১ হাজার টাকা যে পেয়ে আসছিলেন, এখন তারা পাবেন ৫০০ টাকা হারে।

এদিকে ৯ আগস্ট ভিন্ন এক নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি কর্মচারীরা জুম প্ল্যাটফর্ম বা অনলাইনে কোনো বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে অংশ নিলেও নগদ টাকা ভাতা পাবেন। তবে এখন থেকে সেই ভাতা মিলবে আগের চেয়ে অর্ধেক। কোর্স পরিচালক, কোর্স সমন্বয়ক ও সাপোর্ট স্টাফরাও পাবেন অর্ধেক, যদিও প্রশিক্ষকেরা সম্মানী পাবেন আগের মতোই।

এনএম/ওএফ