সৌদি আরব সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় সিনোফার্মের করোনা টিকা গ্রহণকারী বাংলাদেশিরা ওমরাহ পালনে যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোসহ বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

টিকা জটিলতা এবং ফ্লাইটের টিকিটের উচ্চ মূল্য নিয়ে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) উদ্যোগে গতকাল রোববার একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। এতে হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম সভাপতিত্ব করেন।  

সভায় অনলাইনে যুক্ত হন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউছুফ আলদুহাইলান।

বাংলাদেশে যারা সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন, তারাও যাতে ওমরাহ পালন করতে সৌদি যেতে পারেন, সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে সভায় অনুরোধ জানান হাব নেতারা।

সৌদি সরকার ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। তাই ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের এসব টিকার মধ্যে যেকোনো একটি যেন দেওয়া হয়, সে বিষয়েও তারা অনুরোধ জানান।

হাব সভাপতি বলেন, ফ্লাইটের আগে পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে ওমরাহযাত্রীরা যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং টিকিট ও হোটেল আবার বুকিং করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া এখন সৌদি এয়ারলাইন্স ও বিমানের ভাড়া অনেক বেশি, তাই বিমানের ভাড়া কমানোর দাবি করেন তিনি।

সিনোফার্মের টিকা যারা নিয়েছেন, তারাও যাতে ওমরাহ পালনে সৌদি যেতে পারেন সে বিষয়ে সৌদি সরকার ও সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ ছাড়া ওমরাহযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ওমরাহযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সিনোফার্মের টিকা নিয়ে ওমরাহ পালনে যেতে হলে সে দেশের সরকারের নির্দেশনা প্রয়োজন। ওমরাহযাত্রীদের জন্য সরাসরি মদিনার ফ্লাইট চালু করতে হলেও সৌদি সরকারের অনুমতি দরকার। এ বিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

এদিকে, সিনোফার্মার টিকার বিষয়ে শিগগির সৌদি সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (হজ) জহিরুল ইসলাম।

সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউছুফ ঈসা আলদুহাইলান জানান, করোনা মহামারির কারণে ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা এখন ৬০ হাজারে সীমাবদ্ধ। ধীরে ধীরে তা বাড়ানো হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। 

এনএম/আরএইচ