বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আইনের অনুমোদন
'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১' এর খসড়ার নীতিগত এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, '২০১৩ সালে কোর্টের রায় ছিল, সামরিক শাসনের যে অধ্যাদেশগুলো, সেগুলো আইনে পরিণত করা, এটা একচুয়েলি সেটাই। এটাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেজন্য এটা ক্যাবিনেট একেবারে পুরোটাই (চূড়ান্ত) অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এরপর পার্লামেন্টে যাবে।'
বৈঠকে 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ-ভাতা) আইন, ২০২১' এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'এটাও অধ্যাদেশ ছিল। এটাতেও নতুন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, আগে যেটা ছিল সে অনুযায়ীই। এটাকেও পুরো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুধু ছোটখাট সংশোধন হয়েছে। যেমন আগে বোধ হয় দৈনিক ভাতা ৫০০ বা সাড়ে ৫০০ টাকা ছিল, সেখানে ১৪শ টাকা করা হয়েছে।'
এছাড়া বার কাউন্সিল অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে একটি আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
'বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২১' শীর্ষক এ খসড়া আইনের অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'কিছুদিন আগে বার কাউন্সিলের অধ্যাদেশ করা হয়েছিল, কারণ যদি কোনো কারণে টাইম ওভার হয়ে যায় তখন কী করবে, সেটার কোনো বিধিবিধান ছিল না। সেজন্য বার কাউন্সিল অধ্যাদেশ হিসেবে এটি নিয়ে আসা হয়েছিল।'
'অধ্যাদেশ করলে পার্লামেন্ট শুরু হলে একমাসের মধ্যে সেটাকে আইনে পরিণত করতে হয়, নইলে সেটা বাদ হয়ে যায়। সেজন্য ওনারা এটা নিয়ে এসেছেন। সেটা ক্যাবিনেট রি-অনুমোদন করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এটাকে অনুমোদন করে ফেলতে হবে, নইলে বাতিল হয়ে যাবে। সেজন্য এটার ফাইনাল অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
এসএইচআর/জেডএস/জেএস