করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই প্রায় তিনশ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামলেও কমছে না ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। 

এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার সব অঞ্চলে মশক নিধন কার্যক্রম তদারকির জন্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, কমিটির সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ছকে প্রতিদিনের বিষয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দাখিল করবেন। কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই তদারকি টিম ডিএনসিসির স্প্রে ম্যান সুপারভাইজার, মশক নিধন কর্মীদের প্রতিদিনের সকাল ও বিকেলের বায়োমেট্রিক-ম্যানুয়াল হাজিরা নিশ্চিত করবেন। কোন কোন অঞ্চলে মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে তারা তালিকা করবেন। মশক নিধনের ব্যবহৃত সচল-অচল স্প্রে মেশিন, ফগার মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির তথ্য নিশ্চিত করবেন।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের মশক নিধন কার্যক্রম তদারকির জন্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফকে অঞ্চল-৩ এ, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে অঞ্চল-৯ এ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) খন্দকার মাহবুব আলমকে অঞ্চল-৫ এ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রফিকুল ইসলামকে অঞ্চল-১ এ, উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মৃধাকে অঞ্চল-২ এ, নগর পরিকল্পনাবিদ দিলবাহার আহমেদকে অঞ্চল-১০ এ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মো. ফরহাদকে অঞ্চল-৪ এ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম শফিকুর রহমানকে অঞ্চল-৭ এ, স্বাস্থ্য বিভাগের ভেটেনারি অফিসার ডা. শারমিন সামাদকে অঞ্চল-৬ এ এবং নির্বাহী প্রকৌকশলী (বিদ্যুৎ) মাহবুবা আকতারকে অঞ্চল-৮ এর মশক নিধন কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এএসএস/জেডএস