দেশের উত্তরে হাড়কাঁপানো শীত। কিছু এলাকা অধিকাংশ সময়ই থাকছে কুয়াশায় মোড়ানো। তবে দিনে কিছুটা সূর্যের দেখা পাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। 

আর রাত বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। রয়েছে ঠান্ডা বাতাস। সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় মোড়ানো থাকবে দেশের অধিকাংশ এলাকা। মাঘ মাসের সঙ্গে যোগ হয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে কঠিন সময় পার করছেন উত্তরের সাধরণ মানুষেরা।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ কে এম নাজমুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মধ্যরাত থেকে দেশের অধিকাংশ স্থানে ঘন কুয়াশা পরবে। এছাড়া নদীর আশপাশ ও ফাঁকা মাঠেও কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। সেই সঙ্গে থাকবে হিমেল বাতাস।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছী ৬ দশমিক ০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহীসহ দেশের ১৩ অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা অব্যাহত থাকবে আরও তিন থেকে চারদিন। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে দেখা দিতে পারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশের রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক: উত্তরপশ্চিম/উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় (০৬-১২) কি.মি.।

যেসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ: টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহটি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিলো ৫৬ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৩৪ মিনিটে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

একে/ওএফ