মাস্ক পরে খেলতে কষ্ট হয়, তারপরও ভালো লাগে
ছুটির দিনে রাজধানীর শিশু পার্কগুলোতে মুখে মাস্ক পরেই বিভিন্ন খেলায় মেতেছে শিশুরা। অনেকদিন পর উন্মুক্ত জায়গায় খেলার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি তারা। সমবয়সীদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপ, দোলনাসহ যে যার মতো খেলে সময় পার করছে তারা।
নানা খেলায় মেতে উঠলেও কারো মুখ থেকে একবারের জন্য মাস্ক সরতে দেখা যায়নি। শিশুরা বলছে, মাস্ক পরে খেলতে কষ্ট হয়। কিন্তু বাইরে বের হয়ে খেলার আনন্দের কাছে সে কষ্ট কোনো কষ্টই নয়!
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা এলাকার বিভিন্ন শিশু পার্কে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মুখে মাস্ক পরেই কোলাহলে মেতে উঠেছে ছোট সোনামণিরা।
রাজধানীর উত্তরা ১৩ নং শিশু পার্কটিতে সাত বছর বয়সী শিশু আরাফাত কখনো লাফালাফি করছে, কখনো দোল খেয়ে আনন্দ করছে। সমবয়সী কাউকে পেলে তাকে নিয়েও খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু মুখ থেকে একবারের জন্যেও মাস্ক সরায়নি সে।
খেলার ফাঁকে আরাফাত জানায়, অনেকদিন পরে বাইরে বের হতে পেরেছে। খুবই ভালো লাগছে তার। প্রতিদিনই এভাবে ঘুরতে মন চায়। কিন্তু বাবা মা তো চাকরি করেন, তাই বের হওয়া হয় না। এখানে আসলে অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়, কথা হয়। খুব ভালো লাগে তার।
শিশু আরাফাতের মতো অধিকাংশ শিশুকেই মাস্ক পরে নানা খেলায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। অভিভাবকরাও কখনো কখনো শিশুদের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন। ছেড়ে দিচ্ছেন নিজের ইচ্ছে মতো খেলার জন্যে।
উত্তরার আজমপুর থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছেন নারগিস সুলতানা। তিনি বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় ভাবলাম বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুরে আসি। ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে বসে থেকে অনেকটা মন মরা হয়ে গেছে। বাইরে যাওয়ার কথা শুনে তাদের আনন্দের আর সীমা নেই।
রাজধানীর উত্তরা এলাকার বিভিন্ন পার্ক ঘুরে দেখা যায়, কোনো শিশু দোলনায়, কেউ বা উপর থেকে নিচে গড়িয়ে পড়ছে, কেউ একজন আরেকজনকে ধরতে দৌড় দিচ্ছে। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে পার্কটাও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পার্কগুলোয় শিশুদের খেলার জন্যে একাধিক উপকরণও রয়েছে।
সৈয়দ মুজতাবা নামে এক শিশু জানায়, ছুটির দিন হলেই বাবা মার সঙ্গে ঘুরতে ইচ্ছে করে। পার্কে এসে খেলতে বেশি ভালো লাগে তার। অনেকের সঙ্গে খেলা যায়। সবাই মিলে অনেক মজা করা যায়। মাস্ক পরে দৌড়াতে একটু কষ্ট হয়, তারপরও ভালো লাগে।
একে/এসকেডি