দুর্যোগের সময় আমরা কাউকে পেছনে ফেলতে পারি না। নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষদের সবসময় সামনের সারিতে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক হিউম্যনিটেরিয়ান প্রোগ্রাম আয়োজিত ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি আবহাওয়ার ‌৬, ৭ বা ১০ নম্বর সিগনাল দেয় এবং আমার পাশে যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকে তখন কীভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাব? যাদের হাঁটতে সমস্যা, যাদের চোখে সমস্যা কিংবা যারা যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের দিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। যারা অসমর্থ, তাদের দিকে যত্নশীল হতে হবে, আর তাদের পেছনে ফেলে রাখা যাবে না।  

ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজেদুল হাসান বলেন, মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্র্যাক একটি গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান স্ট্রাটেজি তৈরি করেছে। এই স্ট্রাটেজিতে কোন কোন দুর্যোগে কীভাবে কাজ করব, আমাদের লক্ষ্য কী- সব লেখা আছে। 

তিনি জানান, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের জন্য ব্র্যাকের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করা আছে- যেখানে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো উল্লেখ আছে। বিশ্বে ব্র্যাক তাদের কর্মীদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। যদি বড় কোনো দুর্যোগ আসে, ব্র্যাকের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম একটা স্পেশালাইজড বাহিনী হিসেবে কাজ করবে। 
 
ক্লাইমেট চেঞ্জ কর্মসূচি প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান জানিয়েছেন, প্রকৃতি ও জলবায়ুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারি না। তবে এর মোকাবিলায় ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের কার্যক্রমে অনেক নতুনত্ব রয়েছে। এগুলো  সময়োপযোগী ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।

ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান ইমামুল আজম শাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার, আইডিপি কর্মসূচি প্রধান শ্যাম সুন্দর সাহা, বাবলী সুরাইয়া, পারুল আক্তার ও রমেশ মিস্ত্রী প্রমুখ।

ওএফ