শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের প্রথম দিনে সড়কে ধীরগতি
টানা ১৯ দিন পর গত ১১ আগস্ট থেকে চালু হয় সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। ওই সময় থেকে মোট গণপরিবহনের অর্ধেক চলাচল করলেও আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে রাস্তায় শতভাগ গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। এতদিন পর সড়কে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল করায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে। আবার বেশ কিছু সড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহনগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি। এছাড়া বেশ কিছু সড়কে যানজটের পাশাপাশি যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলছে।
বিজ্ঞাপন
রাইদা বাসের চালক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায়। তিনি বলেন, সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। এছাড়া যানজটের পাশাপাশি যানবাহনগুলো চলছেও ধীরগতিতে। সকাল থেকে দুই ট্রিপ মেরেছি। সকালের দিকে যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও এখন যাত্রীর চাপ কিছুটা কমেছে। তবে সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কথা হয় মিরপুর থেকে বনশ্রীর মধ্যে চলাচলকারী আলিফ বাসের সহকারী বাবুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মিরপুর থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পুরো রাস্তায় ধীর গতিতে আসতে হয়েছে। শুধু আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেটের আগে রাস্তা পর্যন্ত যানজট কম ছিল। এছাড়া মোটামুটি সব রাস্তাতেই যানবাহনগুলোর ধীরগতি দেখা গেছে। আজ প্রথম শতভাগ গণপরিবহন সড়কে নামায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে, সড়কে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (১৮ আগস্ট) বিআরটিএ সদর দফতরের পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিআরটিএ। এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে সড়কে সব গণপরিবহন চলবে। এ জন্য কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।
শর্তে বলা হয়েছে, আগের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। আগের ভাড়ার অতিরিক্ত কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না। গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কনডাক্টর, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া, যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে যানবাহনের মালিকদের।
শর্তে আরও বলা হয়েছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। অন্যথায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। এর আগে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। নতুন নির্দেশনার পর তা আর কার্যকর থাকছে না।
এএসএস/ওএফ