কেরানীগঞ্জ উপজেলার সড়ক উন্নয়নে ১১শ কোটি টাকার প্রকল্প
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার পল্লী সড়কের ধারণ ক্ষমতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এজন্য ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
এলজিইডি জানায়, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পল্লী সড়কের ধারণ ক্ষমতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণে সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্প এলাকায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ও টেকসই সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৩৩ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ১৬ হাজার দুই লেন গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় করা, ৮ হাজার কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়কের ইন্টারসেকশন নিরাপদকরণ, এক লাখ ৬৫ হাজার মিটার সেতু নির্মাণ ও পুনর্বাসন, ৫০০টি গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন ও এক হাজার ২০০টি বাজার উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সহায়ক হবে। এছাড়া প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- উপজেলা সড়ক উন্নয়ন (প্রশস্ততা ৪০ ফুট, ৫০ ফুট ও ৬৬ ফুট) ১৫ দশমিক ৬০ কিলোমিটার, গ্রাম সড়ক উন্নয়ন (প্রশস্ততা ২৪ ফুট ও ৩৬ ফুট) ৬ কিলোমিটার, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ ২৬৬ দশমিক ৪৯ মিটার (ব্রিজ ৬টি ও কালভার্ট ৭টি), ফুটপাত উন্নয়ন ও নির্মাণ (৫ ফুট) ২১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা হলে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পল্লী অঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন সম্ভব হবে। উপজেলা সড়কের উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাসসহ জীবনমান উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে পরিবেশ বান্ধব, কার্যকর সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা এবং ড্রেনেজ নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কৃষিপণ্য বিপণন ও বাজারজাতকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। কৃষি ও অকৃষিখাতে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ হবে। সার্বিকভাবে দারিদ্র্য হ্রাসে ইতিবাচক অবদান রাখবে। এজন্যই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসআর/ওএফ