ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা এডিস মশার উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করছি। শ্রাবণ মাসের বৃষ্টিতে কিছু স্থানে পানি জমছে। আমাদের যদি একজনের বাসায় তিনবার যেতে হয়, তবে কাজটি কঠিন হয়ে যায়। জনগনের অসচেতনতা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে দুরুহ করে তোলে। 

বুধবার নগরীর ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে অনুদান প্রদান কার্যক্রম শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেয়র বলেন, অনেক সময় ভুল তথ্যের কারণে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ দুরূহ হয়ে যায়, বিলম্বিত হয়। আমি সবার কাছে নিবেদন করব, আমাদেরকে সঠিক তথ্য দেবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ছাড়াও আমি সকলের কাছে নিবেদন করছি, আপনারা যে সকল তথ্য পাবেন আমাদেরকে সরাসরি জানাবেন। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মকভাবে কাজ করে চলেছি।

তিনি বলেন, সঠিক তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা সেখানে ব্যবস্থা নিতে পারব। উৎসস্থল নিধন ছাড়া এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব না। সারা বিশ্বেই এটা স্বীকৃত, পরীক্ষিত। আমরা সেই কাজটাই করছি কিন্তু কাজটি কার্যকরভাবে করার জন্য পর্যাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া অত্যাবশ্যকীয়।

শেখ তাপস বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে তালিকা পাচ্ছি, সে অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের বাসায় বাসায় যাচ্ছি। এছাড়াও বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে যে তথ্যগুলো আসে, আমরা সেখানেও এডিস মশার বিস্তার রোধে উৎস নিধন করছি, প্রজননস্থল ও আধারগুলো ধ্বংস করছি। সঠিক তথ্য পেলে আরও কার্যকরভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

এর আগে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউচর এলাকায় ১১৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে সাড়ে চার হাজার টাকা শিক্ষা বৃত্তি এবং ১৮৬ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেন। এছাড়াও নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশ মাঠের উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ হাজী সেলিম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ আশপাশের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/আরএইচ