তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশে আজ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যা কিছু আছে তার সবকিছুর ভিত্তি রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বুধবার (১৮ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ইপিআরের ওয়ারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রচার করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মহান স্বাধীনতার স্থপতিই নন, স্বদেশ বিনির্মাণের নায়ক। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র সাড়ে ৯ মাসে একটি সংবিধান উপহার দেওয়ার নজির পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজলে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ই-ক্যাবের সভাপতি সমি কায়সার, বিসিএস এর সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইটের অরবিটাল ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ প্রদানকারী সংস্থা জাতিসংঘের আইটিইউয়ের সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন। বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে ড. কুদরত-ই-খোদার মতো একজন বিজ্ঞানীকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মিথ্যা দিয়ে সত্য ডাকা যায় না। সত্যের জয় অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক, রেডিও, টেলিভিশন থেকে ২১টি বছর ২টি প্রজন্মের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজ সে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাই-টেক পার্কেই নয়, ‘ইউনেস্কো’ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

একে/এসকেডি