১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে তারা প্রকৃত মালিক কি না সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, বিষয়টি যেহেতু আইনগতভাবে দেখা হচ্ছে তবুও আমরা প্রকৃত মালিকের সঙ্গে বসতে চাই।

বুধবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে 'ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী ক্রেতাবৃন্দ' ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।

মানববন্ধনে গ্রাহকদের একজন কে এম জামান বলেন, আমরা জেনেছি মালিক পক্ষের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমান মালিক নাকি সাবেক, সে বিষয়ে আমরা পরিষ্কার না। কাগজ কলমে তারা তারাই সব। আমরা চাই প্রকৃত মালিক আমাদের সঙ্গে বসুক। কীভাবে টাকা ফেরত দেবে, সেই বিষয়টি পরিষ্কার করুক। এখন তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে, আমরা সেভাবে নিতে আগ্রহী না।

অন্যরা বলেন, ই-অরেঞ্জ শেষ কয়েকবার আমাদের বাইক ডেলিভারির সময় দিয়েও দেয়নি। বর্তমানে তাদের অফিস বন্ধ, কাস্টমার কেয়ার বন্ধ। তাদের সিইও বলছে আমি কোম্পানি বিক্রি করে দিয়েছি। সে আমাদের সামনে আসছে না। সে দেশে আছে নাকি নেই, তাও জানা নেই। গত ১৭ তারিখ থেকে তাদের পণ্য ডেলিভারি করার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বেলা ১১টায় জানানো হয়, তারা সাধারণ ডেলিভারি ১৯ তারিখ থেকে করবে আর বাইক ডেলিভারির জন্য আরও ৪৫ দিন সময় নেবে। যেখানে তাদের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার কথা, সেখানে অলরেডি ৪ মাস হয়ে গেছে। সেখানে তারা আরও সময় চাচ্ছে। কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে, তারা নাকি ভ্যান্ডর পাচ্ছে না।

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন মহলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করছি।

উল্লেখ্য, অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সড়ক অবরোধের এক পর্যায়ে রাতেই বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা তার সঙ্গে দেখা করতে মিরপুর-১২ তে তার বাসায় যান। মঙ্গলবার তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেন।

এমএইচএন/জেডএস